কোভিডে মৃত্যু শীর্ষে আসলে কোন দেশ?

| রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১২:১১ অপরাহ্ণ

গত দুই বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছুঁইছুঁই, সরকারি হিসাবে এটি বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের কয়েকটি দেশে গত দুই বছরে কোভিডে যে পরিমাণ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেসব দেশে মৃত্যুর সংখ্যা তার চেয়ে ঢের বেশি, এমনকি তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। খবর বিডিনিউজের।

তাহলে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বিবিসি। মৃত্যু বা তার কারণ পরিমাপের জন্য আন্তর্জাতিক কোনো মানদণ্ড নেই। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন উপায়ে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করে, ফলে একের সঙ্গে অন্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে সঠিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি হলো, একটি দেশে বছরে গড়ে কত সংখ্যক মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সেই সংখ্যার অতিরিক্ত সংখ্যাটা বের করা। অনেক দেশ অতিরিক্ত মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করলেও কিছু দরিদ্র দেশ, তা করে না কিংবা খুব কম কমই করে। ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রত্যেক দেশের অতিরিক্ত মৃত্যু নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও।

অতিরিক্ত মৃত্যুর এই সংখ্যা পরিমাপের ক্ষেত্রে সরাসরি কোভিডে মৃত্যু বলে নিশ্চিত নয়, এমন কারণগুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যেমন-চিকিৎসার জন্য লোকেরা হাসপাতালের চিকিৎসা সুবিধা পায়নি এমন কারণগুলো রয়েছে। এটি কিছু অঞ্চলে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, যদিও মৃত্যু গণনার এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ দেশ নয়, তবে এটি প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে। ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ ও ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত মারা গেছে ৯ লাখ ৩০ হাজার মানুষা। কিন্তু ভারতে মারা গেছে ৪৭ লাখ, রাশিয়ায় ১১ লাখ, ইন্দোনেশিয়ায় ১০ লাখ মানুষ। বিবিসি লিখেছে, সংস্থাটির পরিসংখ্যান মূলত ২০২২ সাল পর্যন্ত দ্য ইকোনমিস্টের পরিসংখ্যান এবং অতিরিক্ত মৃত্যু নিয়ে অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে বেশ সঙ্গতিপূর্ণ।

জনসংখ্যা বিবেচনায় সামঞ্জস্য করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি ১ লাখে ১৪০ জনের অতিরিক্ত মৃত্যু নিয়ে র‌্যাংকিং থেকে ছিটকে পরে। কিন্তু দেশটি প্রতি ১ লাখে বৈশ্বিক গড় ৯৬ এর অনেক উপরে রয়েছে। এছাড়া এটি সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার একটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাজ করা মহামারী বিশেষজ্ঞ প্রভাত ঝা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত মৃত্যুর তুলনায় সরকারি হিসাবে ১৫ শতাংশ কম মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এর বেশিরভাগই প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা যেমন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যেসব মৃত্যু হয়েছে সেগুলো এড়িয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেন নিয়ে উদ্বেগ জানাল রাশিয়াসহ নিরাপত্তা পরিষদ
পরবর্তী নিবন্ধকিউবার রাজধানীতে বিস্ফোরণে নিহত ২২