কোন মানিক দণ্ডিত নিরূপণে হবে বিচারিক তদন্ত

| মঙ্গলবার , ৯ মার্চ, ২০২১ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুরের মানিক মিয়া না কি মানিক হাওলাদার-মাদক মামলায় দণ্ডিত আসলে কে, তা নিরূপণে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। প্রকৃত আসামিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তার পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়েছে কি না, তদন্তে তাও বের করতে বলা হয়েছে। শরীয়তপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম বা তার তত্ত্বাবধানে যে কোনো হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) বিষয়টি তদন্ত করবেন। তদন্তে সিরাজগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ ও জেল সুপারকে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
মানিক মিয়ার পরিবর্তে মানিক হাওলাদারের গ্রেপ্তার এবং তার আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয় বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ। প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত না করে মানিক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার এবং তাকে কারাগারে নেওয়া কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিরাজগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক, শরীয়তপুর থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
২০০৯ সালে গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার নথির তথ্য অনুযায়ী, কিছু দিন পর ওই বছরই হাই কোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। এরপর থেকে তিনি পলাতক। ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালত চার আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মানিক মিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রক্সি আজাদ কারাগারে, শেষ রক্ষা হয়নি আসল আজাদেরও
পরবর্তী নিবন্ধরামগড়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন আজ