কোনো কর বাড়ানো হবে না, শুধু আওতা বাড়বে : মেয়র

| বুধবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

নগরবাসীর ওপর কোনো কর বাড়ানো হবে না, শুধুমাত্র করের আওতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি গৃহকর পুনঃমূল্যায়নের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে নগরবাসীকে কোন ধরনের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সর্বশেষ গৃহকর পুনঃমূল্যায়নে যদি অসঙ্গতি থাকে, আপিল করলে তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে চসিক কর্তৃক গঠিত স্থায়ী কমিটি সমূহের সভার সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মেয়র আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বিধিবিধানের আওতায় কর আদায়ের যে খাতগুলো আছে, সে খাতগুলো থেকে কর আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামী রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হবে। এছাড়া বাজারগুলোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে তদারকি ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি অবৈধ বাজার উচ্ছেদপূর্বক রাস্তা ও ফুটপাতে বাজার বসা বন্ধের উদ্যোগ নিতে নিদের্শনা প্রদান করেন। ইতিপূর্বে নগরীর তিনটি বাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নগরীর অবশিষ্ট বাজারগুলোতেও পলিথিন ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

মেয়র নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, অপ্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনির নামে দোকানপাট নির্মাণ করলে নগরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তিনি অনুমোদনহীন যাত্রী ছাউনি ও বিলবোর্ড স্থাপনের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন। ইতিমধ্যে সৌন্দর্যবর্ধনে চসিকের সাথে চুক্তি মোতাবেক কাজ সম্পন্ন না করায় ৭টি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বাকী প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি মোতাবেক কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে ১৫দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।

চসিকের যানবাহন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চসিকের প্রচুর যানবাহন সঠিক মেরামত না হওয়ার ফলে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ যানবাহনগুলোর সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করে চসিকের মেকানিক দ্বারা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেকানিক নিয়োগ দিয়ে যানবাহনগুলো সচল করতে হবে। প্রয়োজনে চসিক নিজস্ব অর্থায়নে একটি ওয়ার্কসপ তৈরি করে গাড়িগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাস্তা সংস্কার ও যে কোন নির্মাণ কাজ চলমান থাকাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতি নিশ্চিতের ব্যাপারেও গুরুতারোপ করেন। অমর একুশকে বইমেলার বিষয়ে প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাগরিকায় চসিকের নিজস্ব নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষাগারটি আবার সচল করার উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।

চসিক ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, স্ট্যান্ডিং কমিটিসমূহের সভাপতি কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, আবদুস সালাম মাসুম, মো. আব্দুল মান্নান, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, মো. সলিমুল্লাহ বাচ্চু, আতাউল্লাহ চৌধুরী, মো. মোবারক আলী, কাজী নুরুল আমিন, গাজী শফিউল আজিম, মো. জহুরুল আলম জসিম, আবদুল বারেক, মো. ইলিয়াছ, নাজমুল হক ডিউক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম, আবু সালেহ, মনিরুল হুদা, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম ওয়াসার সিস্টেম লস ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব
পরবর্তী নিবন্ধসাড়ে ১০ কিমি অংশ চালু হবে চলতি বছরেই