ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় বিভ্রাটের পর স্বাভাবিক হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাছাকাছি সময়ের এ ঘটনায় অপারেটরটির গ্রাহকরা দুই ঘণ্টা নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলেন।
বেলা পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিভ্রাটের এ সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। কথা বলার পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছিল না। জরুরি যোগাযোগ করতে না পেরে এ সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। বিকালে গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের বিষয়ে জানানো হয়। এর আগে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়ায় অপারেটরটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। খবর বিডিনিউজের।
তিন জায়গায় একসঙ্গে তিন ফাইবার কেবল কাটা পড়ার ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক’ বর্ণনা করে গ্রামীণফোন বলেছে, এগুলো ব্যাকবোন কেবল হওয়ায় নেটওয়ার্কে বিপর্যয় হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়কে কাটা পড়া দুটি ফাইবার কেবল জোড়া দেওয়া হয়েছে। রেললাইনে কাটা পড়া অপরটি সংযোগে আনতে কাজ চলছে।
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, এ রকম ফাইবার কাট অহরহই হয়ে থাকে বাংলাদেশে, যখন বিভিন্ন রকমের নির্মাণ কাজ চলে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সব জায়গাতেই। কিন্তু আমি বলেছি দুর্ভাগ্য কারণ একই সাথে তিনটা ফাইবার কেটে গিয়েছে। এরকম হওয়াটা খুবই অস্বাভাবিক, কিন্তু সেটাই হয়েছে। যার জন্যে নেটওয়ার্ক কানেকশনের বাইরে ছিল।
একসঙ্গে তিনটি কেবল কাটা পড়ার ঘটনাকে অস্বাভাবিক বললেও সেটা নাশকতা কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সব গ্রাহক সেবার বাইরে ছিলেন না। তবে কত সংখ্যক গ্রাহক সেবা পাননি সে বিষয়ে তারা এখনও তথ্য যোগাড় করতে পারেননি।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাসার বলেন, দুপুর ২টার দিকে নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি জায়গায় ফাইবার অপটিক কেবল কাটা পড়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়।












