বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ উপ–নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। সকালে অধিকাংশ কেন্দ্র ফাকা দেখা গেলেও বেলা ভাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও শেষ পযর্ন্ত তা আশাব্যঞ্জক হয়ে ওঠেনি। এখানকার সব কয়টি কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ও কর্মী সমর্থকদের সক্রিয় দেখা গেলেও অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কোনও এজেন্ট বা কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়নি। অভিযোগ ছিল তাদের কোনও এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি সরকার দলীয় লোকজন।
এছাড়াও কোনো কেন্দ্র থেকে তেমন কোনও গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া না গেলেও দুপুরের দিকে জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এক যুবলীগ কর্মী ইভিএমের একটি মেশিন কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আইনশৃংখলা বাহিনী ও কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাপাচাপিতে অন্য এক আওয়ামী লীগ নেতা সেটি ফেরত দিতে গিয়ে আটক হন বলে জানা গেছে। আটককৃত এ নেতার নাম রতন চৌধুরী। তিনি শ্রীপুর–খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। রাত পর্যন্ত তাকে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকতে দেখা গেলেও বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম রাজার প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক রাষ্ট্রদূত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এস এম আবুল কালাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত, এখানকার শান্তিপূর্ণ ভোটকে বিতর্কিত করতে যারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।