কেন্দ্রের কঠোর বার্তাতেও অনড় আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা

চসিক নির্বাচন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২৭ জানুয়ারি। চলতি বছরের ২৯ মার্চ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাওয়ার জন্য চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়কসহ কেন্দ্রীয় টিম বারবার তাগাদা ও হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনড় অবস্থানে রয়েছেন। নগরীর দুটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডসহ প্রায় ১৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এসব বিদ্রোহীদের নিয়ে বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
এদিকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের অন্যতম নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি চট্টগ্রাম এসে মেয়র প্রার্থীসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির সাথে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে বসে তাদেরকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ এবং চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে অনুরোধ করেন। বিদ্রোহীরা যদি সরে না যান তাহলে তাদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠালে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গী বাজার, আলকরণ, আন্দরকিল্লা, দেওয়ান বাজার, লালখান বাজার, রামপুর, জালালাবাদ, পাঠানটুলি, উত্তর পাহাড়তলী, দক্ষিণ কাট্টলি, মোহরা ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এদিকে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে দেওয়ানবাজার, আন্দরকিল্লা ও চকবাজার থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রুমকি সেনগুপ্ত। এই ওয়ার্ডে বিদ্রোহী হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর আনজুমআরা বেগমও মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে চসিক সংরক্ষিত আসন-৩ (সাধারণ ৭ও ৮) থেকে জেসমিন পারভীন জেসী এবং জহুরা বেগম দুইজনই দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে নির্বাচনী মাঠে প্রচার করছেন। এসব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীরা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুড়ে ছাই ১৬ ঘর ও ১২ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে এক এসআই ও কনস্টেবল প্রত্যাহার