নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গ্রুপিং নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বৈঠকে দুই গ্রুপের অভিযোগ–পাল্টা অভিযোগ এবং তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শোনার পর কেন্দ্রীয় নেতারা আগামীকাল ৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে যৌথভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান এবং ৫ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দারুল ফজল মার্কেট দলীয় কার্যালয়ে কার্যকরী কমিটির সভায় পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দেন। একই সাথে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় কলাবাগান এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাহ উল হক সাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান রহমান বাবুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গ্রুপিং নিরসনে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে জরুরি তলব করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকে নগর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এবং সিনিয়র সহ–সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ খানের নেতৃত্বে অপর গ্রুপের নেতারা আলাদাভাবে ঢাকায় গিয়েছেন। গতকাল রাত পৌনে ১১টায় উভয় গ্রুপকে নিয়ে বৈঠক শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ–সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উপস্থিতিতে তিন ঘণ্টাব্যাপী মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আগামী ৪ মার্চ পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন নাছির ভাই (নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন), প্রধান অতিথি থাকবেন মাহতাব ভাই (নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী) এবং প্রধান বক্তা থাকবেন নওফেল ভাই (শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল)। এছাড়া ৫ মার্চ দারুল ফজল মার্কেটে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কার্যকরী কমিটির সভায় পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাহ উল হক সাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর উপস্থিতিতে কলাবাগানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিটিং শুরু হয়েছে। রাত পৌনে ১১টায় এই মিটিং শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সুনাম করেছেন। নগরীর অনেকেই সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে তাদেরকে চট্টগ্রামে পার্টি অফিসে বসে আলোচনার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করতে বলেছেন। কোনো অসঙ্গতি থাকলে বা কারো কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা মিটিং ডেকে নিজেদের মধ্যে সমাধান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।