যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পণ্যর উপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারে বলে মনে করছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারকে শুল্কনীতি পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মার্কিন শুল্ক আরোপের প্রভাব নিয়ে রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে বিজিএমইএ। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং বাংলাদেশের রপ্তানি : প্রভাব মূল্যায়ন এবং কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো নিরূপণ শীর্ষক এ সংলাপে পোশাক খাতের অংশীজনরা বক্তব্য দেন। খবর বিডিনিউজের।
বিজিএমইএ এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক হাফিজুর রহমান, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ–পিআরআই এর চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার, র্যাপিড এর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সানেম এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, চৈতি কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম ও উদ্যোক্তা মোস্তফা আবিদ খান।
রপ্তানিকারকরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ আরোপের ফলে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিখাতগুলো ‘চরম সংকটে’ পড়বে। পাশাপাশি, শুল্ক বাড়ানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্যগুলোর দাম বাড়বে, তাতে পণ্যের চাহিদা কমবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হবে।
রপ্তানিকারকরা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যে সমন্বয় প্রক্রিয়ায় অনেকদূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকেও দ্রুততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি নির্বিঘ্ন রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।