নগরীর খুলশীতে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারী নজির আহম্মেদ (৫৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে শিশুর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের মধ্যেই গতকাল ভোর রাতে কুমিল্লার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে নজির আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতে উপস্থাপন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামি নজির আহম্মেদ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট তেতুইয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। খুলশীর ঝাউতলা এলাকায় বসবাস করেন। গত ১৫ অক্টোবর আসামি নজির আহম্মেদ ওরফে নজির ভান্ডারী প্রলোভন দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুটিকে খুলশী থানাধীন বিজিএমইএ ভবনের পেছনে স্টাফ ঘরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুর মা বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করান।
শিশুটির মা জানান, খুলশী এলাকায় ভারতীয় দূতাবাসের উল্টো দিকে আসামি নজিরের একটি ভাতের হোটেল আছে। তার পাশে আমার স্বামী ভাসমান পান-সিগারেট বিক্রি করে। পার্শ্ববর্তী দোকান হওয়ায় আসামির সাথে আমার পরিবারের সকলের সু-সম্পর্ক আছে। আমার মেয়ে নজির আহম্মেদকে ‘নানা’ বলে ডাকে। আর আসামি প্রায় সময় তাকে ‘নাতিন’ বলে ডাকে এবং কিছু খাবার-দাবার হাতে দেয়। আমার মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আসামি নাতিন ডাকার সুযোগ নিয়ে ১৫ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে আমার মেয়েকে কিছু কিনে খাওয়ার জন্য ৫ টাকা দিয়ে তার সাথে যেতে বলে।
মেয়ে যেতে না চাইলে আসামি আরো টাকা দেবে এবং খাবার কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিজিএমইএ ভবনের পেছনে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে চিৎকার করলে আসামি তার মুখ চেপে ধরে। পরে দরজা খুলে তাকে বাসায় যেতে বলে এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে বারণ করে। যদি কাউকে বলে তাহলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মামলা করার পর আসামি নজির আহম্মেদ নানা হুমকি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।