কি ছু জা না কি ছু অ জা না

চাঁদ

প্রবীর বড়ুয়া | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

  • চাঁদের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগতের সৃষ্টির ৩ থেকে ৫ কোটি বছর পর।
  • পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৬ কিলোমিটার অর্থাৎ পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ।
  • পৃথিবীর চারপাশে নিজের কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে চাঁদের সময় লাগে ২৭.৩ দিন।
  • রাতের আকাশে চাঁদকে আলোকিত দেখা গেলেও চাঁদের কিন্তু নিজস্ব কোনো আলো নেই। চাঁদ সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে বলেই আমরা রাতে চাঁদকে দেখতে পাই। তবে চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে তিনগুণ কম।
  • সূর্যের আলো যখন চাঁদের উপর পড়ে তখন চাঁদের তাপমাত্রা হয় ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর যখন পড়ে না তখন তাপমাত্রা হয় মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    চাঁদের মাটিতে আছে বড় বড় পাহাড়, গর্ত ও শক্ত লাভা।
  • চাঁদ কিন্তু পুরোপুরি গোলাকার নয়, ডিম্বাকৃতি।
  • পৃথিবীর এই প্রাকৃতিক উপগ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪শ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • আকারের দিক দিয়ে চাঁদ সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ।
  • চাঁদের উপরের স্তরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির শতকরা ১৬.৬ ভাগ। তাই পৃথিবীতে যার ওজন ১০০ পাউন্ড চাঁদে তার ওজন হবে ১৬.৬ পাউন্ড।
চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং
  • চাঁদের ওজন পৃথিবীর ওজনের প্রায় ৮১ ভাগের এক ভাগ।
  • পৃথিবী থেকে চাঁদের পুরোটা কিন্তু আমরা দেখতে পাই না। আমরা দেখতে পাই চাঁদের একদিকের প্রায় ৬০ ভাগ।
  • চাঁদের অন্যদিকটির প্রথম ছবি তুলেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশযান লুনা-৩ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ৭ অক্টোবর।
  • চাঁদের অন্ধকার এই দিকটিতে প্রথম অবতরণ করে চীনের সাং’এ ৪ মহাকাশযান ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি।
  • মানুষ হিসেবে চাঁদে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই প্রথম পা রেখেছিলেন এপোলো-১১ এর মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। এর ২০ মিনিট পর তাঁর সাথে যোগ দেন এডউইন ই. অলড্রিন (বাজ অলড্রিন)। এপোলো-১১ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র মনুষ্যবাহী পঞ্চম নভোযান।
  • তাঁরা চাঁদ থেকে প্রায় ২৩ কিলোগ্রাম (৫০ পাউন্ড) ওজনের পাথর ও মাটির নমুনা নিয়ে এসেছিলেন গবেষণার জন্য।
  • নীল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন ই. অলড্রিন (বাজ অলড্রিন) সহ এ পর্যন্ত চাঁদে পা রেখেছেন মোট ১২জন মহাকাশচারী।
  • চাঁদেও কিন্তু পৃথিবীর ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হয়। তবে এই চন্দ্রকম্পন বা চাঁদকম্পন পৃথিবীর ভূমিকম্পের চেয়ে দুর্বল।
  • ড. ইউজিন শুমেকার নামের এক মার্কিন জ্যোতির্বিদ ও ভূবিজ্ঞানীর কিছু দেহভস্ম চাঁদে পাঠানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই মারা যাওয়ার পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাঁর এই দেহভস্ম লুনার প্রসপেক্টর-এর মাধ্যমে চাঁদে পাঠিয়েছিল ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জুলাই।
পূর্ববর্তী নিবন্ধবিষ্টি ফুলের খই
পরবর্তী নিবন্ধইউসিটিসিতে ইংরেজি বিভাগের ওরিয়েন্টেশন