কি ছু জা না কি ছু অ জা না

প্রবীর বড়ুয়া | বুধবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
মুজিবনগর সরকার মিশন স্থাপন করেছিল যুক্তরাজ্যে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ ঘোষণা করা হয় ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ওপর সেনা অভিযানের মাধ্যমে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। এর পরিকল্পনাকারী ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছিল ১১টি সেক্টরে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেড আকারে মোট ৩টি ফোর্স গঠিত হয়েছিল।
মুক্তিবাহিনী গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই।
মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী ছিল মুক্তিফৌজ।
যৌথবাহিনী গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর।
১৯৭১ সালে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তান বোমা হামলা চালায় ৩ নভেম্বর।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় ১৪ ডিসেম্বর।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বসূচক খেতাবগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়। এগুলো হলো ১. সর্বোচ্চ পদমর্যাদার খেতাবঃ বীরশ্রেষ্ঠ, ২. উচ্চ পদমর্যাদার খেতাবঃ বীর উত্তম, ৩. প্রশংসনীয় পদমর্যাদার খেতাবঃ বীর বিক্রম এবং ৪. বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রের খেতাবঃ বীর প্রতীক।

১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সকল মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাবগুলো প্রদান করা হয়। সংখ্যাগুলো হলো ১. বীরশ্রেষ্ঠ-৭ জন, ২. বীর উত্তম-৬৮ জন, ৩. বীর বিক্রম-১৭৫ জন এবং ৪. বীর প্রতীক-৪২৬ জন।

মুক্তিযুদ্ধে ‘বীর প্রতীক’ খেতাব লাভকারী একমাত্র বিদেশী নাগরিক ছিলেন ওলন্দাজ-অস্ট্রেলীয় সামরিক কমান্ডো অফিসার উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ওডারল্যান্ড।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন হলো অপারেশন জ্যাকপট। এ অপারেশন ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়।
ভারত থেকে আত্মসমর্পণ দলিল নিয়ে আসেন মেজর জেনারেল জ্যাকব।

আতি্মসমর্পণের পর পাকিস্তানিদের যুদ্ধবন্দি হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা সেনানিবাসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাহ
পরবর্তী নিবন্ধনেই লেখা নেই সেই ঋণ