কিশোর অপরাধ ও আমাদের দায়বদ্ধতা

মো. সাইফুল মিয়া | সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি বান্ধবীকে হিরোইজম দেখাতে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন আশরাফুল আহসান জিতু। এছাড়া প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুলেই দেশের কিশোর-কিশোরীদের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বাস্তব চিত্র দেখা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। তাই এখনি সময় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ করার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার। প্রতিটি মানুষ নিষ্পাপ জন্মগ্রহণ করে, কেউ অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। তারপরও পিতা-মাতার মধ্যে দূরত্ব, পরিবেশের প্রভাব, পারিপার্শিক অবস্থা, অপরাধীদের সাথে মেলামেশা, বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে কিশোর-কিশোরীরা অপরাধী হয়ে উঠে। কোনো অপরাধই সমাজে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে না। শিশু কিশোর পবিত্রতার প্রতীক। তাই তাদের দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হওয়া মোটেই প্রত্যাশিত নয়। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, মানুষের স্বাভাবিক জীবনের বিঘ্ন ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কিশোর অপরাধ। তাই কিশোর অপরাধ রোধে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাদের অবসর সময়ে বিনোদনমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উৎসাহী করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা আনয়ন করতে হবে। কিশোর অপরাধ রোধে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বপোরি, সামাজিক মূলবোধ্য রক্ষা, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি মনোভাব প্রত্যাহার করার মাধ্যমে কিশোর অপরাধ অনেকাংশে দূর হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষক অপমান : জাতির লজ্জা
পরবর্তী নিবন্ধঘুরে এলাম রাঙামাটি