চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শেডে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন গর্জন কাঠের নিলাম আগামী ২৬ এপ্রিল। তিনটি মেগা লটে এক হাজার ২৬১ পিস কাঠের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৯২০ টাকা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার মৌচাকের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গোমতি টিম্বার কমপ্লেক্স মিয়ানমার থেকে এ সব কাঠ আমদানি করে। কিন্তু আমদানিকারক যথাসময়ে এ সব কাঠ খালাস না করায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে কাঠগুলো বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে আমদানিকারক হাই কোর্টে রিট মামলা দায়ের করলে নিলাম কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। তবে দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে গত ২৭ মার্চ নিলাম কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর কাঠের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করে ২৬ এপ্রিল নিলাম করার সিদ্ধান্ত হয়।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। নিলামের দরপত্র ২৪ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (দক্ষিণ) কার্যালয়ের স্থাপিত দরপত্র বাক্সে। এরপর ২৬ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনূকুলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মো. আলী রেজা হায়দার বলেন, দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা ৫ হাজার ৩৪০ টন কাঠ নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল। বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে এতদিন নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস।