কাস্টমসে ফেব্রিক্সসহ ৪৯ লট পণ্যের নিলাম ২ ডিসেম্বর

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ফেবিক্স-রাসায়নিক ও বিভিন্ন ধরণের পণ্যসহ ৪৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী ২ ডিসেম্বর। নিলামের কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৪৯ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে-জেন্টস আন্ডারওয়্যার, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, সালফিউরিক এসিড, ট্যাক্সটাইল কেমিক্যাল, ড্রাগন ফ্রুট, পেপার ট্যাগ, ল্যাবরেটরি সাপ্লাইস, আঙুরের জুস, হ্যান্ড সেনিটাইজার, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, গ্যাস স্টোভ পার্টস, গাড়ির টায়ার, গাড়ির ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ, ম্যানস পলো টি শার্ট, রেডিমেইড গার্মেন্টস পণ্য, অ্যাপ্রন, পলি ব্যাগ, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, বিযুক্ত স্ট্যান্ড ও ওয়াল ফ্যান, ব্যবহৃত আয়রন, ওয়াটার ফিল্টার, কমলা, হ্যাংগার, অ্যাডহেসিভ টেপ, হ্যান্ড গ্লোভস, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, কটন ড্রকর্ড, সাইক্লোহেক্সানন, কিডস বাইসাইকেল এক্সেসরিজ, কার্বন স্টিল বার, ক্যাপিটাল মেশিনারী। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারে (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। নিলামের দরপত্র ২৯ নভেম্বর অফিস চলাকালীন সময় এবং ৩০ নভেম্বর বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগরী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) কার্যালয়ে।
এছাড়া ২ ডিসেম্বর বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বঙ খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনূকুলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। এদিকে জানা গেছে, নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মো. আলী রেজা হায়দার দৈনিক আজাদীকে বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। এই মাসের শুরু দিকে আমরা কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আসা গাড়ির বড় নিলাম সম্পন্ন করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আগামী ২ ডিসেম্বর ৪৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর ১১ জন হত্যার বিচার এখনো হয়নি