কালুরঘাট সেতু মেরামতের টেন্ডার আগামী মাসে

রেললাইনের কাজের সাথে শেষ হবে সেতুর মেরামত কাজও

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

বুয়েটের পরামর্শে কালুরঘাট সেতু মেরামতে টেন্ডারে যাচ্ছে রেলওয়ে। আগামী মার্চে সেতুটি মেরামতের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে দিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে সেতুর ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে রেলওয়েকে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে রেলওয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে। বুয়েট প্রতিনিধি দলের সেই প্রস্তাব মেনেই কালুরঘাট সেতু দিয়ে ভারী ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেন চলাচল উপযোগী করতে শিগগিরই টেন্ডার আহ্বানে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর আলম আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট সেতু মেরামতে মার্চে আমরা টেন্ডার আহ্বান করবো। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষ করে প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, সেটি আমরা দেখেছি। তাদের স্টাডি শেষ পর্যায়ে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো। পুরাতন কালুরঘাট সেতু মেরামতের পর কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

দোহাজারীকক্সবাজার নতুন রেল লাইনের কাজের সাথে সমন্বয় করে সেতু মেরামতের কাজও শেষ হবে।

এদিকে গত ২২ এপ্রিল রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি কালুরঘাট সেতু পরির্দশনে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিদ্যমান সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে মেরামতের পর অনেক শক্তিশালী হবে। মেরামতের পর কালুরঘাট সেতু দিয়ে কঙবাজার রুটে ট্রেন যেতে পারবে। কঙবাজার লাইনে যে ট্রেনগুলো চলবে সেগুলোর ইঞ্জিন ওজনে একটি বেশি হবে। তাই কালুরঘাট সেতুতে এলেই গতি কমিয়ে চলাচল করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ১৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কঙবাজার রেললাইনের কাজ জুনজুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুন মাসে কাজ সম্পন্ন না হলে এক বা দুই মাস বেশি লাগতে পারে। সেই সময়টাকে ধরে নিয়েই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি চলতি বছরের মধ্যেই রেলে আমরা কঙবাজার ভ্রমণ করতে পারব। পাশাপাশি আগামী বছরে কাঙ্খিত কালুরঘাট সেতুর কাজও শুরু হওয়ার কথা জানান তিনি।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ বলছে, পুরনো কালুরঘাট সেতুতে ১০ টনের অধিক লোড নেওয়া সম্ভব নয়। তবে বুয়েটের পরামর্শে মেরামতের পর পর এর সক্ষমতা বাড়বে। কিন্তু কঙবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে সেতুতে সর্বোচ্চ লোড ১২ থেকে ১৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে মিটারগেজ ট্রেনে চলবে ধীরগতিতে। পুরনো এ সেতুতে ব্রডগেজ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

দোহাজারীকঙবাজার রেল লাইন প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই মেগা প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশই শেষ হয়েছে। রেললাইনও এখন প্রায় ৭০ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে।

ঢাকা থেকে কঙবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন আগামী সেপ্টেম্বরঅক্টোবরের মধ্যে যাত্রা করতে পারবে বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৯ দিনের কর্মযজ্ঞ নিয়ে আসছে চীনা টিম
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর পাঁচ স্পটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আজ