কালুরঘাট সেতুতে গাড়ি চলবে এপ্রিলে

হেঁটে পারাপারের জন্য নির্মিত হচ্ছে ওয়াকওয়ে

শুকলাল দাশ | শনিবার , ৯ মার্চ, ২০২৪ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

 

কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে আগামী মাসের (এপ্রিলের) মাঝামাঝি সময়ে। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ চলছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শে। গতকাল সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যরা। এখন সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা থেকে নিয়মিত কক্সবাজার রুটে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু আগের মতো সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুরোদমে সংস্কার কাজ চলছে। ট্রেন এবং যানবাহনের পাশাপাশি সেতু দিয়ে উভয় পাড়ের মানুষ হেঁটে পারাপারের জন্য প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে ওয়াকওয়ে। ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ পুরোদমে শেষ হলে একদিকে যানবাহনও চলতে পারবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত। তিনি বলেন, ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন প্লেইট বসানোর কাজ বাকি আছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সেতুর পুরোপুরি সব কজে শেষ হবে। তখন সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলতে পারবে। এখন নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যদের পরামর্শ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা কাজ করছি। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যরা আজও (গতকাল শুক্রবার) সেতুর চলমান কাজ পরির্দশন করেছেন। তারা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

আমরা আশা করছি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সেতু দিয়ে যানবাহন চলতে পারবে। ইতোমধ্যে শত বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার পর কক্সবাজার রুটটিতে রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন চলছে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে নবনির্মিত কক্সবাজার রুটে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এদিকে নতুন সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কোরিয়ার ইউসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সমীক্ষা শেষে প্রতিবেদনও দাখিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের প্রকৌশলী ও জয়দেবপুর ঈশ্বরদী প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রকৌশলী ও নুতন সেতু প্রকল্পের ফোকাল পার্সন গোলাম মোস্তফা। ঋণ চুক্তির মাধ্যমে কালুরঘাটে রেলওয়ে নতুন সেতু নির্মাণের অগ্রগতি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে। শত বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটির লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করে কক্সবাজার রুটে নতুন ইঞ্জিনের নতুন ট্রেন চলাচলের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৪৩ কোটি টাকায় সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথমে সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তুলে। ইতোমধ্যে সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ চালক আহত
পরবর্তী নিবন্ধচবির ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮৮ শতাংশ