কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সিজেকেএসকে আইনী নোটিশ দিয়েছে মুক্তকণ্ঠ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের প্রতিনিধিত্বকে ঘিরে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তা আপাত দৃষ্টিতে শেষ হয়ে গেছে মনে হলেও এখন আবার যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই ইস্যু। নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহনও সম্পন্ন হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এরই মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের সভাপতি হাজি ফয়জুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফের পক্ষে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক বরাবরে এই আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আইনজীবী। গত শনিবার এই নোটিশ নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ক্লাবটির প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোন কর্মকর্তা সে নোটিশ গ্রহন করেনি। গতকাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আরো একবার পাঠানো হলেও সেটাও গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির কর্মকর্তারা। তবে সিজেকেএস ্‌এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যেহেতু দিদারুল আলম চৌধুরী সিজেকেএস সহ সভাপতি হিসেবে এই চিটি পাঠিয়েছেন সেহেতু সেটা আমরা গ্রহন করতে পারিনা। কারন তিনি এখন সহ সভাপতি নেই। তবে জানা গেছে সিজেকেএস সভাপতির ডেসপাসে এই নোটিশ গ্রহন করা হয়েছে।

কি আছে এই আইনী নোটিশে? মুক্তকন্ঠ ক্লাবের আইনজীবী জানিয়েছেন গত ২৭ নভেম্বর নোটিশ প্রাপক সিজেকেএস সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বিধিটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে। কিন্তু সিজেকেএস কর্তৃপক্ষ গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে একটি নোটিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক সভা আহবান করে। সভাটি হওয়ার কথা ছিল ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ৬ টায়। কিন্তু আপীল বিভাগের আদেশের প্রতি সম্মান রেখে ১৬ ডিসেম্বর আরেক চিটিতে সভাটি স্থগিত করে। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সভাটি আবার অনুষ্ঠিত হয়। এই আইনজীবী তার নোটিশে উল্লেখ করেন আদালতের আদেশের পরও সভা ডাকা এবং দায়িত্ব গ্রহন করা আপীল বিভাগের আদেশের সবচাইতে বেআইনীভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন আপীল বিভাগের আদেশ ক্রমাগত লংঘন করার কারনে তার মক্কেলের বিশাল অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। তাই তিনি নোটিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদককে এই নোটিশ পাওয়ার পর সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। অন্যথায় আদালত অবমাননার পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই আইনজীবী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধুলার মাঠে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে খেলা শিখছে শিশুরা
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৩.৩৮ কোটি টাকা