নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে ‘কাস্টমস আইন, ২০২৩’। কিছু ধারায় সংশোধন করে আইনটি কার্যকর করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন আইন অনুযায়ী, আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম ও সব ধরনের বন্দরে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। খবর বিডিনিউজের।
২০১৪ সালে নতুন কাস্টমস আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। গতবছর নভেম্বর মাসে ‘কাস্টমস আইন, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গেজেট জারি হয়। আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করার দিন থেকেই এ আইন কার্যকর করার বিষয়ে বলা ছিল, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আইনটির প্রায়োগিক এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সকল বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, এতে দেখা যায় যে, আইনটির কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত সুফল নিশ্চিত করতে হলে উক্ত আইনের কতিপয় ধারায় একান্ত প্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন ও কতিপয় নতুন বিধান সংযোজন করা প্রয়োজন। এছাড়াও নতুন বাংলা আইনে নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করায় তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিধিমালা জারি করা প্রয়োজন।
নতুন আইনের ৪, ৬, ৮৩ সহ কয়েকটি ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এসব বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী, আমদানিকারকের কোনো অসাবধানতা, ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে পণ্য খালাস করার পর তা ধরা পড়লে ‘শুল্ক আরোপ করা হয়নি’ এমন দাবি করে চিঠি দিতে পারেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। যাচাই–বাছাই শেষে যদি দেখা যায়, শুল্ক আরোপ না করা অর্থের পরিমাণ এক হাজার টাকার কম, তাহলে কোনো জরিমানা করা যাবে না। শুধু দাবিকৃত শুল্ক জমা দিতে হবে আমদানিকারককে।
এফবিসিসিআই পরিচালক মাহবুব চৌধুরী বলেন, নতুন আইনে এটি রাখা হয়নি। এটি সংযুক্ত না করা হলে এক টাকার শুল্ক কম হলেও বড় অঙ্কের জরিমানার সুযোগ থাকল, তা দুইশ গুণও করতে পারেন কর্মকর্তারা। এতে কর্মকর্তারা বেশি করে জরিমানা করতে পারবেন। নানাভাবে হয়রানি ও দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হবে।