কারিগরী শিক্ষায় জোর শিক্ষা উপমন্ত্রীর

কিছু প্রতিষ্ঠান চসিক অধিগ্রহণ করায় বিস্ময় প্রকাশ

| সোমবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা সনাতনী কায়দায় চললে দক্ষ জনবল সৃষ্টি হবে না। অপ্রয়োজনে যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনার্স কোর্স চালু, শাখা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে শিক্ষার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি হয় না। কারিগরী শিক্ষা, ট্রেড কোর্সের ওপর জোর দিতে হবে।
চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা গতকাল রোববার কর্পোরেশনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক পরিচালিত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ভোকেশনাল ইভেন্ট ও ট্রেড কোর্স চালুর প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। এছাড়া কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগকে ইউসেপ মডেলের শিক্ষা কারিকুলাম অনুসরণ করতে বলেন। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে চসিক অধিগ্রহণ করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, অধিগ্রহণ তো করতে পারে একমাত্র সরকার, কর্পোরেশন কী করে করল।
খোরশেদ আলম সুজনের মতো একজন দক্ষ, দ্রুত গতি সম্পন্ন বিচক্ষণ ব্যক্তিকে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে পাওয়ায় চট্টগ্রামবাসী ভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। প্রশাসক অল্প সময়ে কর্পোরেশনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। আগামীতে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা ফিরে আসবে আশা করা যায়। সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো উপমন্ত্রী বরাবরে উপস্থাপন করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অবকাঠামোগত উন্নয়নের অপ্রতুলতা, একাডেমিক ভবন না থাকা, প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত না হওয়া।
চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড কোর্স চালুর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, শিক্ষা অর্জনে অনার্স, মাস্টার্স কোর্সকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। অনার্স ডিগ্রি অর্জন করে জেন্টলম্যান মানসিকতা নিয়ে বেকারত্ব নিয়ে ঘুরলে তা দেশের জন্য বোঝা। এর চেয়ে কারিগরী, ট্রেড কোর্স বা পলিটেকনিক শিক্ষা অর্জনে বেকারত্ব দূর হবে। এমপিওভুক্তি এবং জায়গা থাকা সাপেক্ষে নতুন ভবন নিশ্চিত করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এমপিও না থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার যোগ্যতাই থাকে না।
এতে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, সরকার এত উন্নয়ন করছে, তারপরও কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, শ্রেণি কক্ষের সংকট রয়ে গেল। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ছিল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কারিগরী ও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ১২ বছর চাকরি করেও নিজ প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে পারলেন না, এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। এসব শিক্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত। শিক্ষকদের গতিশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য হাসিনা জাকারিয়া, চসিক সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া ও প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা পরীক্ষায় ভ্রাম্যমাণ সহায়তা
পরবর্তী নিবন্ধজয়পাহাড়েই হচ্ছে বিপিসির প্রধান কার্যালয়