দীর্ঘ দুই বছর পর কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিট চালু করা হয়েছে। ইউনিটটি থেকে বর্তমানে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৫টি ইউনিটের মধ্যে এখন সবগুলো ইউনিটই সচল রয়েছে বলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে। তবে উৎপাদনে রাখা হয়েছে ২টি ইউনিট।
শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় এবং কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি জেনারেটর রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২ নম্বর জেনারেটরটি ওভারহোলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে টানা দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ ছিল। ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। গত ডিসেম্বর মাসে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়। সফলভাবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সমাপ্তের পর ২ নম্বর ইউনিটটির কমিশনিং শুরু হয়। সফলতার সাথে কমিশনিংও সমাপ্ত হয়।
তিনি বলেন, “বর্তমানে ২ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নম্বর ইউনিটও এখন সচল রয়েছে। এই ইউনিট থেকে উৎপন্ন হচ্ছে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, কাপ্তাই লেকে আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ৯৬.৮২ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে যদিও রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী লেকে এই মুহূর্তে পানি থাকার কথা ১০১.১০ ফুট এমএসএল অর্থাৎ রুলকার্ভ অনুযায়ী লেকে ৫ ফুট পানি কম রয়েছে।
আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। সামনে আসছে গ্রীষ্ম মৌউসুম। তখন লেকের পানি আরো কমে যাবে। তাই শুষ্ক মৌসুমেও স্বল্প পরিমাণে যাতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় সেই চিন্তা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে বলে কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরেকটি ইউনিটে ওভারহোলিং ও রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে কখন ওভারহোলিং শুরু করা যাবে সেই তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।