কাপ্তাইয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে মহিলার মরদেহ উদ্ধার

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১৩ মার্চ, ২০২২ at ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের মুখমণ্ডল ছিল আগুনে ঝলসানো। কেউ হত্যা করে মরদেহ স্কুলের টয়লেটে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের টয়লেটে মহিলার মরদেহ পাওয়ার খবর দ্রুত সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে শতশত মানুষ স্কুলে উপস্থিত হয়। কাপ্তাই থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত স্কুলে হাজির হয়।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, কাপ্তাই সার্কেলের এএসপি রওশন আরা এবং কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি মর্গে পাঠায়।

বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ বলেন, “যে টয়লেটে মহিলার মরদেহ পাওয়া গেছে সেটি একটি পরিত্যাক্ত টয়লেট। ঐ টয়লেটটি এখন কেউ ব্যবহার করে না। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা খেলাচ্ছলে টয়লেটে গিয়ে প্রথমে মরদেহ দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠে। শিশুদের চিৎকার শুনে স্কুলের দপ্তরি সাদ্দাম টয়লেটে গিয়ে মহিলার মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি তাৎক্ষনিক প্রশাসনকে খবরটি জানাই।”

কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, “মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম হাসিনা আক্তার সুমি (৩০)। তিনি উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে। তার স্বামীর নাম ইমাম উদ্দিন। তবে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয় বলে জানা গেছে। নিহত সুমির মা আমেনা বেগম থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন এবং কয়েকজনকে আসামি করে কাপ্তাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।”

এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কে বা কারা জড়িত আছে পুলিশি তদন্তে সবই জানা যাবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধইভিএম খুব নিম্নমানের প্রযুক্তি: ড. জাফর ইকবাল
পরবর্তী নিবন্ধপররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালে