কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি তুলে ধরেন ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ এবং ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা। দুজনই কাপ্তাইয়ে বসবাসকারী ১০ হাজার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে এই দাবি জানান। তারা বলেন, কাপ্তাই মৌজা না হওয়ায় নাগরিকরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন থেকে তারা এই দাবি উত্থাপন করলেও এখন পর্যন্ত দাবি পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লদিফ বলেন, কাপ্তাইয়ে জমির অভাব নেই। কিন্তু যেদিকে তাকাই সব হয় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের, বন বিভাগ অথবা কর্ণফুলী পেপার মিলের জমি। বিভিন্ন সংস্থার নামে জমি থাকলেও তারা বছরের পর বছর ঐ জমি কোন কাজে লাগাচ্ছেন না। তাই ঐসব জমিকে চিহ্নিত করে অব্যবহৃত জমি সমূহকে খাসে রুপান্তরিত করে কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণা করা যেতে পরে। তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণার দাবি নিয়ে গত ৭ মাসে কেউ আমার কাছে আসেনি। স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে আজ আমি দাবি গুলো শুনেছি। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পুরো বিষয়টা আগে বুঝে নেব। পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সকলের সাথে আলোচনা করে সেই পদক্ষেপ নেব।
তিনি বলেন, সব কিছুই জনগণের স্বার্থে বিবেচনা করা হবে। যে সব সংস্থার নামে জমি বরাদ্দ রয়েছে তারাও নিশ্চয়ই জনস্বার্থেই জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। তবে বরাদ্দ নেওয়া জমি যদি বছরের পর বছর ব্যবহার করা না হয় অথবা ভবিষ্যতে কোন কাজে না লাগে তাহলে যাচাই বাছাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।