কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গলে কাজ করছে এমন কিছু সামাজিক ব্যবসা পরিদর্শন করছেন নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ইকুয়েডর সীমান্তের নিকটবর্তী এই এলাকাটি কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। গতকাল শুক্রবার ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনূস এনভায়ার্নমেন্টাল হাব’ কলম্বিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০টি সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলেছে এবং এই ব্যবসাগুলোকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে ১০টি সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আমাজনিয়ার জঙ্গলে। আমাজনিয়ার ক্রমাগতভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চলের বনায়নসহ এলাকায় চক্রাকার অর্থনীতি গড়ে তোলা এই ব্যবসাগুলোর উদ্দেশ্য। আমাজনিয়া রেইনফরেস্ট কলম্বিয়ার মোট ভূমির প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত। শান্তি চুক্তি সই হওয়ার পর ওই এলাকায় বিরোধের অবসান হলে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে ওই রেইনফরেস্টে বৃক্ষ নিধন পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। কলম্বিয়ার নতুন সরকার ওই বনভূমির ধ্বংস রোধ করতে এবং পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সরকার সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে। দেশটির নতুন ও প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মারকুয়েজ একজন নিবেদিতপ্রাণ পরিবেশবাদী। তিনি অবৈধ খনি খননের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে সরাসরি সংগ্রাম করে আসছেন। অধ্যাপক ইউনূস যে এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন সেটির নাম কেকোয়াতা। এলাকাটি এফএআরসির সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শান্তি চুক্তির পর এলাকায় কোনো সুস্পষ্ট শাসন ব্যবস্থা না থাকায়, বন ধ্বংসের প্রক্রিয়া চুক্তি-পূর্ব সময়ের চেয়ে বরং আরও খারাপ হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।