চারপাশে আমাদের অনেক ধরনের প্রশ্ন, সমস্যা, কারো খারাপ ব্যবহার ইত্যাদি অনেক ধরনের ব্যবহার, সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।এতে যদি আমরা নিস্ক্রিয় থাকি তাহলে প্রশ্নকারী যে উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করুক না কেন, সেটা আক্রমণাত্মক হোক আর বন্ধুত্বসুলভ হোক তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে! কখনো কখনো দেখা যায় হয়ত মনে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থেকে কাউকে কিছু বলা হলো না, কিন্তু তার প্রতিউত্তর এতোটাই আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে যে সেটার জন্য প্রশ্নকর্তা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।সেক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সহায়তা করবে। কেউ যদি আপনার ইতিবাচকতা বুঝতে সক্ষম না হয় তবে সেটা হবে তার ব্যর্থতা। হিংসা কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। হয়ত একদিন কেউ আপনার মনমতো কাজ করলো না,সেটা যদি আপনি বয়ে বেড়ান তাহলে বোঝাটা কে বহন করছে? আপনিই কিন্তু বহন করছেন! ধরুন প্রতিহিংসা বশত একবার তাকে কষ্ট দিলেন, দেখলেন মানুষটা নির্বিকার। নীরবতার সাথে সহ্য করে যাচ্ছে, এর মানে এই নয় যে সে আপনাকে ভয় পাচ্ছে। তার বিনয়কে যদি দূর্বলতা ভাবেন স্পষ্টত এটা ধরেই নেন যে সমস্যা তার চেয়ে আপনার বেশী। হিংসার পরিণতি কখনো সুখকর হয় না। নিজের জ্বালা মেটানো ছাড়া। আজকে সুযোগ পেয়ে নিজের জ্বালা মেটাবেন,সামনে এমন একদিন আসবে হয়ত আপনি আজ যাকে প্রতিদ্বন্দী ভাবছেন তারচেয়ে অন্য একজন এসে আপনার পাওনা সব চুকিয়ে দেবে। কর্মফলের উর্ধ্বে আমরা কেউ নই। ঈশ্বর মোদের বিরাজ করে স্বীয় চেতনা ও সুকর্মে,/ আত্মিকতার চর্চা হোক ভীত হই অপকর্মে।
ইতিবাচক দৃষ্টিতে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করাটা যখন একসময় অভ্যাসে পরিণত হবে, দেখবেন চারপাশের মানুষগুলোও আপনার সাথে ইতিবাচক ব্যবহার করছে। আমরা আসলে মানুষের সাথে যেমন ব্যবহার করি তেমনটাই ঠিক পাই। এক দু‘জন যারা ব্যতিক্রম তারা আপনার ইতিবাচকতার সাথে পেরে না উঠে দেখবেন দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন কিন্তু আক্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছে না। আমরা আসলে সুযোগ দেই বলেই নেতিবাচক মানুষ সেটা প্রহণ করে উন্মত্ত হয়। কর্মফলের শাস্তি আমাদের কল্পনার চেয়ে ভয়াবহ!