কর্ণফুলীতে লাশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

| সোমবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া প্রতিনিধি
কর্ণফুলীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রোববার লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড়ে উক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নিহত ব্যবসায়ীর লাশবাহী গাড়ি নিয়ে মইজ্জ্যার টেক এলাকায় ১৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এরপর দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ছৈয়দ আহমদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, কর্ণফুলী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ছাবের বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, মো. ইসমাইল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলম, নুর মুহাম্মদ ইকবাল, আজগর আলী পাপ্পু, সৈয়দ আহমদ, আবু বক্কর, মো. কামাল, মো. দস্তগীর, নুরনবী বালি প্রমুখ।
বক্তারা এ নির্মম হত্যাকান্ডের জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরে বাদে মাগরিব উপজেলার চরলক্ষ্যার সৈন্ন্যর টেক জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন- গত শনিবার উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খুদ্যারটেক এলাকায় অটোরিকশা চালক ইয়াছিনের সঙ্গে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় অটোরিকশা চালক ইয়াছিন তার ভাই কিশোর গ্যাং নেতা রুবেলকে মুঠোফোনে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। রুবেল দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার ৯দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীরা শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম বুস্টার ডোজ পেলেন সেই রুনু ভেরোনিকা কস্তা
পরবর্তী নিবন্ধবেসরকারি স্কুল ভর্তি লটারির ফল প্রকাশ, ভর্তি কার্যক্রম শুরু সরকারি স্কুলের