কর্ণফুলীতে প্রতিদিন পড়ছে ২৫০ টন বর্জ্য

| রবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

প্রতিদিন প্রায় ২৪৯ টন প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় বর্জ্য কর্ণফুলীতে নদীতে পড়ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। যা মাছসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এতে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া এসব বর্জ্য নগরের জলাবদ্ধতার কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পিয়াল বড়ুয়া ও আল আমিন। খবর বাংলানিউজের।
চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যৌথভাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়, চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হিসাবে ২৪৯ টন হচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। এসব বর্জ্যের মধ্যে আবার ৩৫.৬১ ভাগ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদীর তলদেশ কিংবা অন্যান্য স্তরে ভাসতে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। এসব মাছ খাদ্য হিসেবে মানুষ গ্রহণ করায় মানবদেহে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মাইক্রোপ্লাস্টিক। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ক্রমাগত প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য সৃষ্টির পেছনে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, যত্রতত্র ছুড়ে ফেলা, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকা, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়াকে দুষছেন গবেষকরা। সংবাদ সম্মেলনে ইউএসটিসি উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্ণফুলী সংকটে পড়লে সংকটে পড়বে চট্টগ্রামের মানুষ, তথা পুরো দেশ। এ নদীকে বাঁচাতে হলে সবার আগে পলিথিনের উৎপাদন সমূলে বন্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন। চট্টগ্রামের নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রাহমান বলেন, পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীর পলিথিন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে মিশছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, মনোজ কুমার দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সকল সংকট মোকাবেলার জাতীয় শক্তি
পরবর্তী নিবন্ধগভীর সমুদ্র থেকে ১২ জলদস্যু গ্রেপ্তার