ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, করোনার অভিঘাতে ইডিইউর শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন ব্যাহত হতে দিইনি। যে কোনো প্রতিবন্ধকতা আঘাত হানার আগেই তা নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর্থিক কারণে কোনো শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব রদ করা হয়নি, বরং ছাড়-কিস্তির মতো সুবিধা প্রদান করেছি। এছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ প্রত্যেককে নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণাঙ্গ বেতন-বোনাস এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি, যাতে এসময় তারা মনোবল না হারান।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে ফিন্যান্স কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম সহযোগে এ সভায় সংযুক্ত হন তিনি। অনলাইন ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম পরিচালনায় ইডিইউতে টেকসই ভার্চুয়াল সংস্কৃতি গড়ে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই পুরো প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও চিফ ইনোভেশনস অফিসার সাঈদ আল নোমান। শিক্ষাঙ্গনকে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ইডিইউ এক অনন্য মান স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান।
সাঈদ আল নোমান বলেন, কোভিড-১৯ এর সাধারণ ছুটিতে ইডিইউর কার্যক্রম চলমান রাখতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প ছিলো না। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ভার্চুয়াল সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলো ইডিইউ। ফলে আগে থেকেই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ আমাদের জন্য সহজ হয় এবং ছুটি ঘোষণার পরদিনই আমরা পূর্ণরূপে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করতে আমরা কার্পণ্য করিনি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিরেক্টর খলিলুর রহমান, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, ড. মো. রকিবুল কবির প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।