এবারও করোনা কেড়ে নিল নববর্ষের সকল উৎসব-আনন্দ। উৎসব মুখরতায় ভরপুর থাকতো যেই ডিসি হিল- সিআরবি- শিল্পকলা একাডেমি, কিন্তু এ স্থানসমূহ পহেলা বৈশাখে ছিল একেবারেই প্রাণহীন নীরব-নিস্তব্ধ। পহেলা বৈশাখে প্রতিবছর যেখানে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়ে যেত, ইলিশের বাজার থাকতো চড়া, এবার সেই ইলিশ নিয়ে ছিল না কোনো বাড়াবাড়িও। ছিল না হালখাতা খোলা, আপ্যায়ন ও পান্তা-ইলিশ খাওয়ার আয়োজন। করোনা মহামারির সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার পর গতবছরের মতো এবারও বাতিল হওয়া বাংলা বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল সিআরবি-ডিসিহিল ও শিল্পকলা একাডেমি ছিল প্রাণহীন-নিস্তব্ধ। চৈত্রের শেষদিন বর্ষবিদায় ও পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রতি বছর জনসমুদ্রে পরিণত হতো ডিসি হিল-সিআরবি ও শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।
কঠোর লকডাউনের কারণে এমএম আলী সড়কের জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল মাঠ, জামালখানের ডা. খাস্তগীর স্কুল মাঠ, চেরাগী পাহাড় মোড়, জেএম সেন হল, থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি), পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত কোথাও ছিল না নববর্ষের কোনো আয়োজন। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে ঘর থেকেও কেউ বের হয়নি। একই ভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাও এবার বের হয়নি। চট্টগ্রামের আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বোধন, প্রমা, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ বেশ কিছু সংগঠন ডিজিটালি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করেছে।