রাউজানে মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধ,ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ

কাউন্সিলর আলমগীর আলীসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা

রাউজান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

রাউজান পৌর এলাকায় সাইফ উদ্দিন খান সাবু নামে এক ব্যবসায়ীর পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি মসজিদ পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জেরে গত বুধবার বিকেলে পৌরসভার পশ্চিম গহিরা শেখ ইব্রাহিম জামে মসজিদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ সাবুর ছোটভাই আবদুল্লাহ আল মামুন বাদি হয়ে কাউন্সিলর আলমগীর আলীসহ ৮জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেছেন। মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইকে কাউন্সিলর আলমগীর আলী গুলি করেছে।’
স্থানীয়রা জানায়, লাশ বহনের জন্য শেখ ইব্রাহিম মসজিদে উন্নতমানের একটি খাটিয়া দেন স্থানীয় প্রবাসী। এ খাটিয়া মসজিদে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান আবদুল্লাহ আল মামুন। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের সঙ্গে মামুন, তার ভাই সাবু ও তার ভাতিজা মো. রিদোয়ানের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কাউন্সিলর আলমগীর আলী। অভিযোগ রয়েছে আলমগীর আলী তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে প্রথমে গুলি ছুঁড়লে তা লক্ষ্যভ্রস্ট হয়, দ্বিতীয় গুলি সাইফুদ্দিন খান সাবুর হাটু উপরে বিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটি ছবিতে দেখা যায়, কাউন্সিলর আলমগীর আলীর হাতে অস্ত্র রয়েছে। এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি স্বীকার করে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, এ ঘটনায় গুলি করার সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ছবিতে কাউন্সিলর আলমগীর আলীর হাতে যে অস্ত্র দেখা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সব জানা যাবে।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সাবু আরব আমিরাতে থাকতেন। দেশে ফিরে মুরগির খামার ব্যবসায় যুক্ত হন।
বাংলানিউজ জানায়, আসামিরা হল- স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর আলী (৫৪), মো. রাশেদ আলী (৪৩), মো. এরশাদ আলী (৪০), আবুল বশর (৬৫), মো. আলমগীর(৪৮), মো. শেখ ইব্রাহিম (৩০), শেখ ইসমাইল (৩৫) ও সাইফুজ্জামান শিকু (২৮)।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ছোটভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিন বছর আগে মসজিদ কমিটির সভাপতির মৃত্যুর পর নতুন করে আর কোনো কমিটি হয়নি। এনিয়ে বার বার তাগাদা দিয়েও কাজ হয়নি। নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে কোনো কাজ না করার জন্য গত শুক্রবার বলা হয়েছে। এরপর গত বুধবার দুপুরের পর মসজিদের কাজ করতে আসলে আমার ভাই বাধা দেন। তারা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর আলীকে খবর দিলে তিনি এসেই আমার ভাইকে গুলি করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিটি স্ক্যানের পর বাসায় ফিরেছেন খালেদা
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা এবারও কেড়ে নিল নববর্ষের উৎসব-আনন্দ