দেশে করোনাভাইরাসে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরো ৩০ জনের। ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৬৮৭ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫ হাজার ৯৮০ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭২৪ জন। বিডিনিউজ
গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। নতুন সুস্থদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৯৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ২ হাজার ৯৯৪টি নমুনা।
আজ বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৩টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬ লাখ ২২ হাজার ১৫১টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২১ জন পুরুষ আর নারী ৯ জন। তাদের ২৪ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা যান।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর,এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৭২৪ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১৮১ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫৪৩ জন নারী।