করোনায় ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে আতঙ্ক, লকডাউনে প্যারিস

| শনিবার , ২০ মার্চ, ২০২১ at ১:২৭ অপরাহ্ণ

ফ্রান্সে কোভিড-১৯ মহামারীর তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দেশটির রাজধানী প্যারিস এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে। দেশটির ১৫টি বিভাগেও গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একই বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার কথা বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে এবারের লকডাউন আগেরবারের মতো কঠোর হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাসটেক্স। ইউরোপের এ দেশটিতে এখন ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটি ৩৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নতুন বিধিনিষেধের ফলে অতি জরুরি নয় এমন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলেও স্কুল খোলা থাকছে। লোকজন বাইরে বের হলেও বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ দেশের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ভ্রমণ করতে পারবে না। বেশি আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ির বাইরে যেতে হলে নির্দিষ্ট একটি ফর্মে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ফ্রান্সজুড়ে রাত্রিকালীন যে কারফিউ আছে তা বলবৎ থাকবে। দিনের আলো কাজে লাগাতে এখন থেকে কারফিউ আগের চেয়ে একঘণ্টা পরে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে। দেশটির সরকার এমনিতেই করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির শ্লথগতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল; এখন তার সঙ্গে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক যোগ হয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকাকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে অভিহিত করার পর শুক্রবার থেকে ফ্রান্স টিকাটির প্রয়োগ ফের শুরু করতে যাচ্ছে। ক্যাসটেক্স বলেছেন, টিকাটি যে কার্যকর তা দেখাতে তিনি নিজেই ভ্যাকসিন নেবেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কারও কারও রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে- এমন খবরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের মতো ফ্রান্সও ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। সম্প্রতি দেশটিতে হওয়া এক জরিপেও মাত্র ২০ শতাংশ ফরাসী নাগরিক অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় আস্থা রাখেন বলে দেখা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজানের শেষ ১০ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা মসজিদে নববি
পরবর্তী নিবন্ধসৈয়দ এহসানুল হক