করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ও বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। গত বুধবার তারা দুজনেই মৃত্যুবরণ করেন।
এর মধ্যে আবদুল মতিন খসরু গত ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মতিন খসরুর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রাজধানী ও কুমিল্লায় ৫ দফা জানাজা শেষে গতকাল বাদ আসর তাকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া মীরপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলা হয়।
অন্যদিকে গত বুধবার আসর নামাজের পর মানিকগঞ্জে মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে। এর আগে তিনি দুপুর ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত রোববার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেসময় জানানো হয়, শামসুজ্জামান খান ও তার স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার-পাঁচদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। সাবেক শিক্ষক শামসুজ্জামান খান স্বাধীনতা পদক পদক ও একুশে পদকে ভূষিত। বাংলা একাডেমি পুরস্কারও রয়েছে তার ঝুলিতে। অধ্যাপক শামসুজ্জামানের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রামে। ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষাজীবন শেষে শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবনের সূচনা। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন।