প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীতকালে কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাসের পুনরাবৃত্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ব্যাপকভাবে মাস্ক পরার এবং দেশে মারাত্মক কোভিড-১৯-এর বিস্তার বন্ধে সকল নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, কোভিড-১৯-এর সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে এই মুহূর্ত থেকেই মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপ যদি আসে, আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যদি সচেতন হই, তাহলে আমাদের জন্য এটা সুবিধাজনক হবে। খবর বাসসের। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে যেহেতু অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বরের প্রথম দিকে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তে পারে এবং সে সময় নিউমোনিয়া, জ্বর বা অ্যাজমার একটা প্রবণতা আসে, তাছাড়া কোভিড-১৯-এর যদি দ্বিতীয় ধাপ আসে তাহলে এটাকে প্রতিরোধ করতে মাঠ পর্যায়ে একটা প্রস্তুতি থাকতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ব্যাপকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে এবং শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি ঠান্ডার বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। এরআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সবাই দেশবাসীর মাস্ক ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা আরো ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। কারণ, আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, দুই তরফ থেকেই যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত নিরাপদ। আর এক তরফে থাকলে ৬২ থেকে ৬৫ শতাংশ নিরাপত্তা থাকে। সুতরাং মাস্ক পরায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আমরা বলে দিয়েছি গ্রাম-গঞ্জের মসজিদগুলোতে মাইকে প্রতিদিন অন্তত দুইবার করে যেন ঘোষণা করা হয়-‘মাস্ক পরাটা রাষ্ট্রীয় একটা নির্দেশ এবং কল্যাণকর একটা নির্দেশ এবং এটি মেনে চলাটাও আমাদের একটা কর্তব্য। না হলে সরকার বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।