করোনার প্রভাবে বাড়ছে বেকারত্ব

প্রদীপ ভট্টাচার্য্য | শনিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২০ at ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

জীবন জীবিকা কখন স্বাভাবিক হবে তা বলা মুশকিল। অর্থ সংকট ও কর্ম সংস্থান এর পথ স্থবির হয়ে পড়াতে সাধারণ মানুষ বড় সংকটে। মন্দাভাব কবে স্বাভাবিক হবে তাও সবার অজানা। কর্মহীন ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে করোনাকালে লম্বা ছুটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কারণ তাদের সেশন জট, পরীক্ষা স্থগিত, রেজাল্ট, নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ এমনকি অনেক দরিদ্র ঘরের শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রাইভেট বা কোচিং ক্লাসে পড়িয়ে যে উপার্জন করতো তাও বন্ধ থাকাতে একরকম অসহায় বেকার সময় পার করছেন অনেকে। আবার নন-এমপিওভুক্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সমস্ত শিক্ষক কোচিং কিংবা বাসা বাড়িতে টিউশনের উপর নির্ভর করে চলতো তারাও আজ অনেকে বেকার। শুধু তাই নয়, এই করোনার কারণে মিল, কারখানা, দোকান, হোটেল, পোশাক শিল্প অনেকাংশ বন্ধ থাকায় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হওয়ায় অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় কাজ হারানো নিম্নবিত্ত শ্রেণির অনেকেই অনিচ্ছাকৃত কর্মহীনতার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার আশায় এতদিন সঞ্চয় ভাঙিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করলেও এখনো কোন চাকরি কিংবা কাজের সন্ধান না পাবার সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া করোনার প্রভাবে অনেক ক্ষুদে ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে তাঁদের অধীনস্থ অনেক কর্মচারীকে চাকরি থেকে ছাটাই এর কারণে বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাবন করছেন অনেকেই। সুতরাং, এই বেকার সমস্যা আজ এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তাই করোনাকালে দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি হওয়া এই বেকারত্বের ভয়াবহতা থেকে তাঁদেরকে বাঁচাতে হলে সরকারকেই এর যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে সেদিকে না তাকিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে করোনামুক্ত সকালের জন্য অপেক্ষা না করে পজিটিভ পন্থাগুলো বের করে আগামী ভোর যেন সুন্দর হয় সেদিকে নজর দেওয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাগতিয়া মাদরাসার নগর ক্যাম্পাসে শোকরানা মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে ইয়াবাসহ আটক ১