করোনাকাল ও শিক্ষিত যুবসমাজ

সুমন মজুমদার | সোমবার , ৫ জুলাই, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মাঝে সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা দিন দিন লোপ পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে সমাজে নেমে আসছে অস্থিরতা, অরাজকতা তথা চুরি, ডাকাতি, খুন রাহাজানিসহ বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড। প্রবাদ আছে ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। মানুষ চাইলে একটা সমাজকে সুশোভিত করে তুলতে পারে, আবার ঘোর অন্ধকারেও ঠেলে দিতে পারে। সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষিত যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।
আজকের শিক্ষিত যুবসমাজই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই একটা সমাজকে সুশোভিত করে তুলতে পারে, সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারে। বিশেষ করে করোনাকালীন যুব সমাজই নিজ নিজ এলাকায় সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে উপরের শ্রেণিতে পড়ুয়া যুবসমাজ তাদের এলাকায় মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনার ব্যাপারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতে পারে। তাদেরকে এ সমস্ত সামাজিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা, অনুপ্রাণিত ও সুসংগঠিত করে উদ্ধুদ্ধ করতে পারে একমাত্র এলাকার শিক্ষিত বয়োজ্যেষ্ঠরা। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় যেহেতু সুদীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেহেতু যুবসমাজ তথা শিক্ষার্থীদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে শিক্ষার্থী তথা যুবসমাজের বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন মনোবিজ্ঞানীরা। সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুব সমাজের এগিয়ে আসা উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহিদপুর গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক চাই
পরবর্তী নিবন্ধসত্য জানার অধিকার