পাখিডাকা ভোরেই ঘুম থেকে উঠেই গায়ে কেমন যেন শীত শীত অনুভব হল। ঘরের বাইরে বেরোতেই গায়ে হিমেল হাওয়া লাগলো, হুড়হুড় করেই নেমে আসবে শীত। শীত আসলে আমাদের দেশে সবার মনে আনন্দ দোলা দেয়। নানা ধরনের আয়োজন হয় পিকনিক, আনন্দ-ভ্রমণ আর বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির সমারোহ, খেজুর রস আর নানা সামাজিক আয়োজনে শীত হয়ে উঠে মুখরিত। এবারের শীত করোনার মরণ ছোবল এ জর্জরিত। শীত মানে দুঃখের বার্তাও বয়ে নিয়ে আসে সেইসব ছিন্নমূল অসচ্ছল মানুষগুলোর জন্য যাদের শীতে কাপড় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ কেনার ক্ষমতা নেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সর্দি-কাশি নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধগণ নানা রোগের শিকার হন।এই ক্ষেত্রে শীত রোগের প্রতিরোধ, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচীও নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে করোনার এই দুর্যোগ সময়ে পরিস্থিতি বেশী খারাপ হওয়ার আগেভাগেই সবাইকে এই বিষয়ে গুরুত্ব ও বাস্তব কর্মসূচী গ্রহণ করার অনুরোধ জানাই।
আমাদের দেশের সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে, ব্যত্তিগত ও সামাজিকভাবে বিভিন্ন সংগঠন, রোটারেক্ট, রোটারি ও লায়ন ক্লাবগুলো তথা সমাজের বিত্তবান ও চিত্তবান সবার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ আসুন আমরা তীব্রশীত নেমে আসার আগে এখন থেকেই শীতের রোগ প্রতিরোধ সচেতনতা, বিনামূল্যে শীতবস্ত্র, কম্বল, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ শুরু করি, যাতে আমাদের সমাজে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত, দুস্থ ও অসহায়, মানুষগুলো একদিনের জন্যেও শীতে কষ্ট না পায়। সামাজিক দায় এবং একজন প্রতিবেশী হিসাবে সমাজে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত, দুঃস্থ ও অসহায়, মানুষকে শীত আসার আগেভাগে অর্থাৎ যথাসময়ে তাদের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা, ঔষধ ও শীতবস্ত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য দেরী না করে আমাদের সবাইকে এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে।