কমেছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য

ডলার সংকটসহ নানা কারণ আমদানির কন্টেনার ১১.৬৮ ও রপ্তানির ১৬ শতাংশ কমে গেছে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ডলার সংকট, বিলাস দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে গেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রত্যাশিত গতি আসবে না। এদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিংও কমে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্বের নানা দেশে তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। এই সংকটের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে ধস দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য ভর্তি ১ লাখ ১ হাজার ৪৯৩ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। অথচ এক মাস আগে গত আগস্টে বন্দরে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ টিইইউএস কন্টেনারভর্তি পণ্য আমদানি করা হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেনারের সংখ্যা কমেছে ১৩৪২৭ টিইইউএস বা ১১.৬৮ শতাংশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৪৭০ টিইইউএস। এক বছরের ব্যবধানে ১৮ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস বা প্রায় ১৬ শতাংশ কন্টেনার হ্যান্ডলিং কমে গেছে। বৈশ্বিক বাজারের প্রভাব রপ্তানি খাতেও পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৬৩ হাজার ৮০৩ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এক মাস আগে আগস্টে রপ্তানি হয়েছিল ৭৫ হাজার ৬৯৭ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেনারের সংখ্যা কমেছে ১১ হাজার ৮৯৪ টিইইউএস বা ১৬ শতাংশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর রপ্তানি হয়েছিল ৬৮ হাজার ৮৯১ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য।
কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সংকট চলছে, যার প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরেও পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির উন্নতিসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি ঠিক না হলে এই সংকট আরো বাড়বে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাদ বাগানে মশার লার্ভা
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ উড়ে গেছে এক ব্যক্তির পা