নগরীর ১২ ইউনিটের আহ্বায়ক ও আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। এসব কমিটিতে পদপ্রাপ্তরা হলেন-
হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ : সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের ৪১ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে কাজী নাঈমকে। এছাড়া মিজানুর রহমান, আনোয়ার পলাশ, জয়জিৎ চৌধুরী, মায়মুন উদ্দিন মামুন, রবিউল হোসেন কমল, বোরহান উদ্দিন ইমন নামে ৬ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য করা হয়েছে আরও ৩৪ জনকে।
চকবাজার থানা ছাত্রলীগ : চকবাজার থানা ছাত্রলীগের কমিটি এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে জাহিদুল ইসলাম ইরাককে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে জিএম তৌসিফকে। সহ সভাপতি করা হয়েছে আওয়াজ ভূইয়া রনক, নাঈমুল হাসান তুষার, তারভীর মেহেদী মাসুদ, জসীম উদ্দিন, মো. হানিফ, বাঁধন সেন, রবিউল হাসান রুবেল ও অনিক দাশকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মুজিবর রহমান, শাহেদুল ইসলাম টুটুল, জাহেদ হোসেন ফারুক ও আবুল আহাদ সাইমনকে। সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে তরিকুল ইসলাম রিফাত, জাহেদুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন মুন্না ও জিয়াউল হক রাহিকে।
বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ : বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে মিজানুর রহমান মিজানকে। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আনিসুল ইসলাম আজাদ, ইসমাঈল উদ্দিন রুবেল, গিয়াস উদ্দিন রনি, মো. আজিজুর রহমান, লক্ষণ দাশ, ফাহিম চৌধুরী (১৯ নম্বর ওয়ার্ড), আরিফুর রহমান হিরু, ইউসুফ হোসেন সম্রাট (৩৫ নম্বর ওয়ার্ড), মোস্তফা হাসান রিমন, ইরফানুল আলম, শাকিল আরিফ ও জুবায়েদ বিন আলম রুমিকে।
হালিশহর থানা ছাত্রলীগ : হালিশহর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আব্দুর রহিম জিসানকে। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মোহাইমিনুল হক চৌধুরী, এস এম মিসবাহ, আবুল কালাম, কায়সার জামিল ইয়ারহান, তৌহিদুল ইসলাম অভি, আবিদ হাসান, হাবিব শাহেদ, সাইফুদ্দিন রিফাত, তানজীম তানভীম তারভীর রাইয়ান শাওন, আশিকুল ইসলাম, নওশাদ আলী, আশফাক আজিম অভি, ইমরুল হাসান মেহেদী ও মো. ইসা শুভকে।
পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগ : পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগের কমিটি এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে মো. আশিকুর রহমান প্রিন্সকে। এছাড়া সহসভাপতি করা হয়েছে সাজ্জাদ আমিন সোহান, তারেকুল হাসান সজীব, রাহেদ আলম রাহাত, নিয়াজ মোর্শেদ ফয়সাল, ইলিয়াছ আহাম্মেদ সাগর ও হাসান আহাম্মেদ সজীবকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ইয়াছিন আরাফাত আরমানকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফরহাদ বিন জামান শুভ, সুব্রত দাশ, নুরুল ইসলাম রিয়াদ ও ওমর মাহাবুব সিদ্দিকী রঙিকে। সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে আলী আজগর সাদ্দাম, আশরাফুল ইসলাম হৃদয়, আলী আকবর শাহীন, রফিকুল ইসলাম রুবেল, সিরাজুল ইসলাম আকাশ ও আসাদুজ্জামান সংগ্রামকে।
বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগ : বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সুলতান মাহমুদ ফয়সালকে। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রুবেল খান, মাহফুজ হোসাঈন, রাজীব রায়হান, ওয়াহিদ টিটু, মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বাবু, মনিরুজ্জামান স্বজন, আবদুর রহিম জেকি, কায়েস হাসমী সুমন, তানজীম চৌধুরী ত্বনয়, রাশেদুল ইসলাম বাবু, সৈয়দ মোহাম্মদ রিজভী, আবুল কালাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম নিশাত, ফরহাদ ইসলাম অনিক, মঈনুদ্দিন আজমীর, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী ও মোজাম্মেল হোসেন মায়াকে।
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে যারা পদ পেলেন : ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড, ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড ও ১২ নম্বর সরাইপাড়া ও ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে সাদ্দাম হোসেনকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মুজিবুর রহমান রাসেলকে। ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডে রিয়াজ উদ্দিন কাদেরকে সভাপতি এবং সুহৃদ বড়ুয়া শুভকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে গোলামুর রহমান চৌধুরী রিজানকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. ইমতিয়াজ হোসেন রাহাতকে। ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে মাহফুজ আহমেদ ফাহিমকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে নাঈম উদ্দিন তৌসিফকে। ১২ নম্বর সরাই পাড়া ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে হান্নান খান ফয়সালকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ইমাম হোসেন ইমনকে। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে জাবেদ রহিম মুনকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ইমরান হোসেন বাবুকে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু জানান, আমরা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে চাই। এজন্য দলের ত্যাগী-পরিচ্ছন্ন ও মেধাবী কর্মীদের নিয়ে নগরীর ১২ ইউনিটের আহ্বায়ক ও আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছি।
সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর আজাদীকে জানান, আমরা সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজসহ ১২ ইউনিটে কমিটি অনুমোদন দিয়েছি। এরমধ্যে চকবাজার, পাহাড়তলী, হালিশহর, বায়েজিদ ও বাকলিয়া থানা কমিটিও রয়েছে। আমরা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা চেষ্টা করেছি। এতে সংগঠন অনেক শক্তিশালী হবে।












