কন্যার জন্মগ্রহণ অনেক বাবার আনন্দের অশ্রু ঝরায়। কন্যা সন্তান সম্ভবত বাবার অনেক আদরের হয় পুত্রের চাইতে। কন্যা হয়ে যারা জন্মায় তারা অনেক ভাগ্যবান। কারণ কন্যা হয়ে যায় বাবার খেলার পুতুল। বাবা অনেক আদর স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করেন তার কন্যা সন্তানটিকে। পড়াশোনা করানো -সেই ছোটবেলায় স্কুলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা সমাপ্তি পর্যন্ত বাবারা কন্যার প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে থাকেন। আর একজন বাবার মনের যন্ত্রণা তখনই বেশি পরিলক্ষিত হয় যখন তার কন্যাটি বিয়ের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। যে সন্তানকে পরম আদর যত্নে গড়ে তুলেছেন তাকে পরের বাড়ি পাঠাবেন এই ভাবনাটি তার মনে অনেক কষ্ট দেয়। সামাজিক ও ধর্মীয় চিরাচরিত নিয়ম, মেয়েদের পরের বাড়ি যেতেই হবে, আর এ যাওয়া অনেক সময় অনেক বাবাকে তার বাস্তবতা মেনে নিয়ে তার মেয়েকে ধুমধামে নিজের যতটুকু সামর্থ্য থাকে ততটুকু বা তার ও অধিক খরচে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পাদন করে থাকেন।
কিন্তু আমরা কি একবারও ভাবি সেই বাবাটির কথা যে তার সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে তার কন্যা সন্তানদের বিবাহ প্রদান করেন? ভাবি না, আর ভাবিনা বলেই কোনো কিছু না ভেবে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত করলে সাথে আর কিছু লোকজনকেও সাথে নিয়ে যাই, শুধু তাই নয় মুখরোচক খাবার দেখে সেই খাবার যতটুকু খেতে পারবো না, তার চাইতে ও বেশি খাবার প্লেটে তুলে তা নষ্ট করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।এতে শুধু ওই বাবার টাকা নষ্ট করলাম তা কিন্তু নয়, হতে পারে আপনার এ খাবার নষ্ট করার কারণে অনেক অতিথিও না খেতে পারার কারণ হতে পারে।
একটা সময় ছিলো বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক লোক খাওয়ানো সামাজিক রীতি বা লোক দেখানো বলা যায়, কিন্তু করোনাকালে তা কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মানুষ পারে না এমন কিছুই নেই, চাইলে সব কিছুর পরিবর্তন হতে পারে -এটাই একটা উদাহরণ। যেখানে পঞ্চাশ জন থেকে শুরু করে দুইশ জন নিয়েও বিয়ের আয়োজন হচ্ছে এ সময়ে। যা আগে কখনো ভাবা যেতো না। তাহলে আমরা কি পারি না, সেই বাবার কথা চিন্তা করে অপচয় রোধ করতে?