কঠোর বিধিনিষেধ, তবুও মহাসড়কে যানজট

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৯ জুলাই, ২০২১ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

সরকারঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অক্সিজেনবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ভাটিয়ারী টোবাকো গেট এলাকার একটি কনটেইনার ডিপোতে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলোর অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো কখনো এ যানজট উভয় দিকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় কয়েক দিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মহাসড়কে শত শত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে। হাইওয়ে পুলিশের লোকজন সংকেত দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নিয়মিত টাকা উত্তোলনে ব্যস্ত থাকলেও যানজট নিরসনে তাদের দায়িত্ব পালন করতে কাউকে দেখা যায় না। গতকাল যানজটের মধ্যে গাড়ির অনেক চালককে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
পোর্ট লিংক কনটেইনার ডিপোর সামনে থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট চট্টগ্রামমুখী লেনে অন্তত তিন কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় সেখানে প্রায় ১০টি অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালমুখী ২টি অঙিজেন সিলিন্ডারবাহী গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সেখানে অপেক্ষমাণ অঙিজেনবাহী গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ডের একটি কারখানা থেকে ৫০টি সিলিন্ডার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মাদামবিবিরহাট পার হওয়ার পর থেকেই তিনি যানজটে পড়েন। এরপর এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তাঁর ৫০মিনিট সময় লেগেছে। এসময় যানজট নিরসনে কোন হাইওয়ে পুলিশকে দেখা যায়নি। তবে চালকদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোটেঙি আটক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার ফলে যানজট নিরসন নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নেই।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ডের পোর্ট লিংক কনটেইনার ডিপো, বিএম কনটেইনার ডিপো, কেডিএস লজিস্টিক এই তিনটি কনটেইনার ডিপোতে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ ছিল। এ কারণে ১৮ জুলাই থেকে ডিপোর পণ্যবাহী গাড়িগুলো মহাসড়কে অবস্থান নেয়। তবে গতকাল দুটি ডিপোতে গাড়ি প্রবেশ করেছে। বর্তমানে পোর্ট লিংক কনটেইনার ডিপোর সামনের গাড়িগুলো সরানোর কাজ চলছে। ওই এলাকা যানজটমুক্ত করতে পুলিশের দুটি মোবাইল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কনটেইনার ডিপোর সামনে যানজট দেখা যাচ্ছে। তিনি নিজেও একাধিকবার যানজট ছাড়িয়েছেন। তবে বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে করোনায় মৃত্যুর হার ভারতের চেয়ে বেশি : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার বান্দরবানে বন্যায় পানিবন্দী লাখো মানুষ