কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৪ আগস্ট, ২০২২ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে দুই পাশে কয়েক হাজার গাড়ি আটকে ভূমির স্থায়ী বন্দোবস্ত ও পানি-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবি জানিয়েছে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা। তবে অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।
সীতাকুণ্ডের ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রকৃত ভূমিহীনদের এখানেই পুনর্বাসনের কথা শুরু থেকে বলে আসছি। পানি-বিদ্যুতের দাবির কথা বলে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্থানীয়দের জড়ো করে মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা অপেক্ষা করেছি যাতে জানমালের ক্ষতি না হয়। কিন্তু তারা কোনো অনুরোধ শোনেনি। গাড়ি ভাঙচুর করায় আমরা বাধ্য হয়ে কিছু বল প্রয়োগ করেছি। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সলিমপুরের ভূমিদস্যু, পাহাড়খেকো ও সন্ত্রাসীদের অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে। সেখানে প্রকৃত ভূমিহীন মোট ২ হাজার ৭০০। পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু নিজ জেলায় জমি আছে, আবার এখানে বাড়ি করেছে, তাদের বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব না।
মহাসড়ক অবরোধ করে যারা ভাঙচুর ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করেছে, তাদের অধিকাংশ ‘জামাত-বিএনপির লোকজন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা এসব করেছে, সব তথ্য আছে। সড়কে প্রতিবন্ধকতা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধাদান, জানমালের ক্ষতিসাধন করা এসবই অপরাধ। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা অনড়। এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এখানে বে টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মহাসড়কসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে যানজটের রেশ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। রাত সোয়া ৯টার দিকেও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন অংশে মহাসড়কে ধীর গতিতে যানবাহন চলছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে জানে
পরবর্তী নিবন্ধরাস্তা তৈরির বিপক্ষে নই, অধিগ্রহণ ছাড়া ঘরবাড়ি ভাঙবেন না