ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সাগরে নামায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার দুপুরে সমুদ্রসৈকতে লাল পতাকা ওড়ানো হয়। এরপর কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের সাগরে নামতে বাধা দিতে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা সি-সেইফ লাইফগার্ডের ইনচার্জ ওসমান গণি জানান, দুপুর ১২টার দিকে লাল পতাকা ওড়ানোর পর পর্যটকদের সাগর থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরীন আলম বলেন, ‘সাগর উত্তাল হতে শুরু করেছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরিয়ে নিচ্ছি।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের উপজেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ টন চাল, ৭ টন শুকনো খাবার ও ১৯৪টি ঢেউ টিনের শেড মজুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপে বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, যেকোনো দুর্যোগে দ্বীপবাসীর জন্য বিজিবি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপকে বিশেষ নজরদারিতে রাখছি। আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।