কক্সবাজারে পৃথক হত্যা মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কঙবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল গতকাল বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উখিয়ার গৃহবধূ মনজুরা খাতুন ও কক্সবাজার শহরের বাদশার ঘোনা এলাকার আবদুল মালেক হত্যা মামলার রায়ে আসামিদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
গৃহবধূ মনজুরা খাতুন হত্যা মামলায় তার স্বামী ছৈয়দ হোসেনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ছৈয়দ সে উখিয়ার রত্মাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং গ্রামের লম্বাঘোনা এলাকার মৃত সোনা আলীর ছেলে। তাকে স্ত্রী হত্যার দায়ে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল কক্ষে আবদুল মালেক নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আবদুস সালামের ছেলে পারভেজ হোসেন প্রকাশ বাবু (৩৬) এবং একই উপজেলার বাবদি ইউনিয়নের আবদুর রবের ছেলে মো. মোতালেবকে (৩৫) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার রত্মাপালং লম্বাঘোনায় ছৈয়দ হোসেন তার স্ত্রী মনজুরা খাতুনকে পিতার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে খুন করে। এ ঘটনায় নিহত মনজুরা বেগমের পিতা খুইল্যা মিয়া বাদী হয়ে ছৈয়দ হোসেনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি ছৈয়দ হোসেন নিজের দোষ স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী প্রদান করে। ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট আদালতে মামলাটির চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারের সকল প্রক্রিয়া শেষে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
অন্যদিকে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ রাত ৯টার দিকে কঙবাজার শহরের বাদশার ঘোনার জাকের হোসেনের ছেলে আবদুল মালেককে কলাতলীর সুইট হোম নামক রিসোর্টে খুন করে তার লাশ খাটের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহত আবদুল মালেকের ভাই আবদুল খালেক বাদী হয়ে পারভেজ হোসেন প্রকাশ বাবু ও মো. মোতালিব সহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কঙবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।