কক্সবাজারে জামায়াতে ইসলামীর দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার বলেন, রোববার রাতে এসআই মোহাম্মদ সাঈদ নূর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সেক্রেটারিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে জামায়াত–শিবিরের ২০০ শতাধিক নেতাকর্মী কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান গ্যাস পাম্পের সামনে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সমাবেশ করে। একপর্যায়ে সড়কে যানবাহন থামিয়ে ভাঙচুর ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সঞ্চার
হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি লোহার রড, ১৫টি কাঠের লাঠি, ১০ টুকরো কাঁচ ও বিস্ফোরিত হাতবোমার কিছু অংশ জব্দ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার ১৭ আসামি হলেন– জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহ–সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সদর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা আমির ফজলুল্লাহ মো. হাসান ও সেক্রেটারি আ ন ম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমির মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মো. মোহসিন, কঙবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে আবুল কাশেম, মুহুরীপাড়া এলাকার আইনজীবী আবু তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেইট এলাকার আল–আমিন, খুরুশকুল ইউনিয়নের ফকির পাড়ার সেলিম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য জাকির হোসাইন।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত এই মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ। ঘটনাস্থলে কোনো ধরনের ভাঙচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ওইদিন ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্যকেও দেখা যায়নি।