কক্সবাজারে চা চাষে উদ্বুদ্ধ করণ কর্মশালা

| রবিবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার জেলায় আগ্রহী ব্যক্তিদের চা চাষে আরও উদ্বুদ্ধ করতে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারে বাংলাদেশ চা বোর্ডেল প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. এখলাস উদ্দীন, ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. সামসুল আলম। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলা হতে আগত প্রায় ৬০ জন চা চাষে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বক্তারা কক্সবাজারে চা চাষের অপার সম্ভাবণা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। যার মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯.৬৩ একর, এর মধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫.৭৯ একর। তাছাড়া ক্ষুদ্রায়ন চা চাষাধীন জমির পরিমাণ প্রায় ৮০৫৭ একর। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভোক্তার রুচির পরিবর্তনের ফলে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের চিরাচরিত বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা বাগানগুলোতে যে চায়ের আবাদ ও আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হলেও আগামী দু’তিন দশকের মধ্যে দেশের আভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। অথচ আমাদের লক্ষ্য দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানীমুখী চা শিল্পের উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানী করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। তাই আমাদের আশু প্রয়োজন জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে চা আবাদী এলাকা সমপ্রসারণ করা। সে লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সমভূমি এলাকায় সরকার চা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে, যেখানে ইতিমধ্যে চা চাষীগণ ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। অনুরূপভাবে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান চা চাষের অপার সম্ভাবণা অনুমেয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিওসি’৮৬র মাসিক সভা
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন