কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত ইস্রাফিল হুদা জয় গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত ইস্রাফিল হুদা জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার বাসটার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন।

গ্রেফতার ইসরাফিল হুদা জয় কক্সবাজার শহরের শফিউদ্দীনের ছেলে ও ওই ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামি।

পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী মামুন মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।

আলোচিত এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো আশিকুর ইসলাম আশিক, ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

তাদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে ঘটনার রাতেই এবং প্রধান অভিযুক্ত আশিককে রবিবার মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এছাড়া রবিবার ট্যুরিস্ট পুলিশ রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসান নামের আরো তিনজনকে এ মামলায় গ্রেফতার করে। সর্বশেষ মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় এ ধর্ষণ মামলার ৩নং আসামী ইস্রাফিল হুদা জয়কে।

তার গ্রেফতার বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম জানানন, গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডে এ পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারনামীয় তিনজন এবং ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার জিয়া গেস্ট ইন ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন চার দিনের এবং অন্য তিন আসামি দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে। তাদের রিমান্ড শেষ হচ্ছে আগামীকাল বুধবার।

দুই দিনের রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলো কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ (২৮) ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২১)।

এদিকে, মাদারীপুরে র‌্যাবের হাতে ধৃত এ ধর্ষণকাণ্ডের প্রধান হোতা আশিককে এখনও পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। তাকে তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আজ মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধদেশে আরো দুইজনের দেহে ওমিক্রন