ওয়ারিশ সনদপত্র লাভে বিড়ম্বনা

| মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

ভূসম্পত্তি নামজারী জমিভাগ আবেদন ফরমে উল্লেখিত চাহিদা মোতাবেক ‘ওয়ারিশ সনদপত্র’ আবশ্যক। তবে অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত। যা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ প্রদেয়। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যক্ত করছি যে এই সনদ নিতে গিয়ে আমাকে পিতা ও পিতামহের মৃত্যু সনদপত্র দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যেহেতু পিতামহের ও পিতার মৃত্যুতে দুটো পৃথক সনদপত্রের জন্য আবেদন করেছিলাম। প্রতিটাতে ফিস বাবদ ১০০০/ (এক) হাজার টাকা করে ২০০০/(দুই) হাজার টাকা বিড়ম্বনা ঘটল; প্রতিটাতে মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করতে গিয়ে। আমার মত অনেকের শৈশবকালে পিতামহের মৃত্যু ঘটেছে। এমন কি শৈশবকালে পিতাকেও হারিয়েছে। উল্লেখ্য যে, মৃত্যুসনদপত্র সংগ্রহের প্রচলন পূর্বে ব্যাপকভাবে না থাকায় শুধু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নয়আধুনিক সমাজের অনেকে তা সংগ্রহ বা দিনপঞ্জীতে লিখে রাখত না। ফলে মিথ্যার ও অর্থের অন্যায্য লেনদেন এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে ১০০০/ (এক) হাজার টাকা ফি ছাড়াও এসব সংগ্রহে আরও অলিখিত ব্যয় হচ্ছে প্রতিটিতে ১০০০/-(এক) হাজার টাকা। সাধারণ বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থের ও বিড়ম্বনার গুরুভার প্রতি ৩ মাস অন্তর (যদি লাগে) সম্ভব কি? সদাশয় সরকারের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্বপন বড়ুয়া,

শাকপুরা,

বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. ফজলুর রহমান খান : স্থাপত্যশিল্পের আইনস্টাইন
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কষ্টে আছেন সাধারণ মানুষ