ওসি প্রদীপের মামলা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে

অবৈধ সম্পদ অর্জন।। ২২ নভেম্বর চার্জ গঠন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই স্পর্শকাতর উক্ত মামলার বিচার কাজ চলবে। গতকাল রোববার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, এ মামলার ১ নম্বর আসামি প্রদীপ কারাগারে রয়েছে। তার স্ত্রী চুমকি কারণ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। গত ৭ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন তার অনুপস্থিতিতেই চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হবে। আদালত আগামী ২২ নভেম্বর চার্জগঠনের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একইসাথে পলাতক থাকা প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও তার মালামাল ক্রোকের আদেশ হয়। এরআগে গত ২৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশীট দাখিল করে। যেখানে ২৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়।
চার্জশীটে বলা হয়, প্রদীপ ও চুমকী মোট ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জন করেছেন।
গত বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়- আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩,১৩,১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া ৩,৯৫,০৫,৬৩৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ দখলে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কঙবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরের মাসের ৬ আগস্ট কঙবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ ৭ জন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল এবং চলতি বছরের ২৭ জুন প্রদীপসহ চার্জশিটভুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলিবিদ্ধ শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধজনজীবনে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে : ড. মইনুল