এ দায় কার?

মর্জিনা হক চৌধুরী পপি | বুধবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

সমপ্রতি ঘটা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় যেনো প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হয়েছে। কতটা পাশবিক, নির্মম আর ভয়ানক ঘটনা। প্রকাশ্যেই এতো নিষ্ঠুর কাজ করার সাহস ওরা পায় কোথা থেকে? কে ওদের মদদদাতা? কারাই বা ওদোর আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদে সারাদেশ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করছে, যেনো এমন ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িতদের ফাঁসি দেয়া হয়। কিন্তু সেটিও কি আদৌ সম্ভব?
রাষ্ট্রের কাছেও আজ নারী নিরাপদ বোধ করতে পারছে না। দু-তিন বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত প্রত্যেকেই ধর্ষণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ধর্ষণ – গণধর্ষণ বাংলাদেশ এখন চরম সন্ত্রাসী রূপ ধারণ করে প্রকৃত অর্থেই মহামারী আকার ধারণ করেছে। ধর্ষকেরা আজ সমাজে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দেশে যেনো আজ ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। দিন দিন এর মাত্রা আজ চরমে। বখাটেরা কিভাবে এতো সাহস পায় নারীদের প্রকাশ্যে উত্ত্যক্ত কিংবা ধর্ষণ করার? তবে নিঃসন্দেহ বলা যায় সমাজে আজ এমন নরাধম তৈরিতে কিছু ক্ষমতাবান ভূমিকা রাখছেন নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া এ সকল ঘটনা গুলোয় আমাদের বার্তা দেয় নারী ও কন্যাশিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়। তাহলে এর দায় কার সমাজ নাকি রাষ্ট্রের? আমাদের সমাজ কি এতটাই পচে গেছে যে, একজন ভাই তার বোনকে ডাক্তারের কাছে নির্ভয়ে যেতে পারবে না, একজন স্বামী তার প্রিয়তম স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে পারবে না। সাধারণ মানুষরা আজ মনে করছে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।।তাদের দায়িত্ব পালনে ঘাটতি আছে বলেই আজ পথে ঘাটে, স্কুল – কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমাজের সকল জায়গায় ধর্ষক- দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে। তাই অতিদ্রুত ধর্ষণের মতো এমন নিকৃষ্ট বর্বরোচিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং অতিদ্রুত এর লাগাম টানতে হবে। অন্যথায় এমন অপরাধ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ হোক
পরবর্তী নিবন্ধকিশোর অপরাধ ও রাজনীতি