আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় এবং বেসরকারি বিপণন কোম্পানিগুলোর আবেদনে দেশের বাজারে সিলিন্ডারে বিক্রি হওয়া তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম টানা চতুর্থ মাসে বাড়ানো হল। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গতকাল রোববার ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৮৬ টাকা ০৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে দাম বাড়ল ২২ শতাংশ।
সে অনুযায়ী অক্টোবর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে মূসকসহ ১২৫৯ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ১০৩৩ টাকা ছিল। একই হারে সাড়ে ৫ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি, ১৫ কেজি, ১৬ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৩ কেজি, ৩৫ কেজি ও ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকেই নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরমকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। এর মধ্যে বেসরকারি বিপণন কোম্পানিগুলোর আবেদনে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার শুনানি করে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে নতুন এই মূল্যহার নির্ধারণ করা হল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, গত অগাস্ট মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রনের গড় মূল্য ১৪০ ডলার বেড়েছে। সেই হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য মূসকসহ ১৫৮ টাকা বাড়ছে। অর্থাৎ কেজিতে বাড়ছে ১৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর বিভিন্ন পর্যায়ে বিতরণ কোম্পানির পরিচালন ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা ৬৯ পয়সা।